গত দুই দশকে গুলশান ধীরে ধীরে আবাসিক এলাকা থেকে রাজধানীর বাণিজ্যিক প্রাণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ব্যাংক, বীমা, হাসপাতাল সহ প্রায় সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় এখন গুলশানে অবস্থিত। এর ফলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সহ অন্যান্য সরকারি পরিষেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে গুলশানবাসীকে সময় মতো সকল নাগরিক সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় না। এইসব জনসেবা দ্রুত নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দিতে গত কয়েক বছর ধরে গুলশান সোসাইটি সড়ক পরিচ্ছন্নতা, কমিউনিটি পুলিশ দ্বারা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, পার্ক ব্যাবস্থাপনা সহ বেশ কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করে গুলশানে বসবাসকারীদের সুবিধার্তে।
২০১৭ সাল থেকে গুলশান সোসাইটি নিজস্ব কর্মী ও যানবাহন ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ সড়ক পরিষ্কারের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। গত মাস এই কার্যক্রমে অতিরিক্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ, দিনে ও রাতে দুই শিফটে প্রবর্তন সহ একাধিক কৌশলগত উদ্যোগ হাতে নিয়েছে গুলশান সোসাইটির সিভিল সার্ভিসেস এন্ড ইউটিলিটিস কমিটি এবং এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। এই কার্যক্রম এলাকাবাসীর মধ্যেও ব্যাপক প্রশংসনীয়। কমিটির কনভেনর আরাফাত আশওয়াদ ইসলাম এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের (গুলশান সোসাইটির) লক্ষ্য সবসময়ই ছিল গুলশানের বাসিন্দাদের জন্য একটি পরিচ্ছন্ন, আরও বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করা। আমরা যে সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলি নিয়েছি তা নাগরিক পরিষেবাগুলি উন্নত করার জন্য আমাদের বৃহত্তর প্রতিশ্রুতির অংশ। ফলাফল ইতিমধ্যে দৃশ্যমান, এবং গুলশানে বসবাসকারী সকল শ্রেণী ও পেশার জনগণ থেকে প্রতিক্রিয়া অত্যধিক ইতিবাচক হয়েছে।”
সরোজমিনে দেখা যায় গুলশানের অভন্তরীন সড়কের পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতায় চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন। স্থানীয়দের সাথে কথা বলেও তেমন ধারণা পাওয়া যায়। গুলশান রোড ৭-এর একজন স্থানীয় বাসিন্দা সোসাইটির সড়ক পরিছন্নতা কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এর উত্তরে বলেন “গুলশান কতটা পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠেছে তা দেখে সতেজ লাগছে। পার্থক্যটি বিশেষ করে সকালে লক্ষণীয়। এটি দেখায় যে গুলশান সোসাইটি সময় উপযোগী ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিচ্ছে।”
গুলশান সোসাইটির সার্বিক সড়ক পরিছন্নতা কার্যক্রম ও আগামী পরিকল্পনা নিয়ে কমিটি কনভেনর আরাফাত আশওয়াদ ইসলাম বলেন “বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পরেই গুলশানের সড়ক পরিছন্নতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে একটি টেকসই সম্প্রসারণ কার্যক্রম শুরু করে। সোসাইটি প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার ওমর সাদাতের নেতৃত্বে ও আমাদের সদস্যবৃন্দের আর্থিক এবং অন্যান্য সহযোগিতায় আমরা সড়ক পরিছন্নতার সার্বিক কার্যক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছি।”