ঢাকাSunday , 10 December 2023
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলা
  6. চাকরি
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. ধর্ম
  10. নির্বাচিত সংবাদ
  11. প্রবাস
  12. বিনোদন
  13. মতামত
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল

প্রবাসীরা বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কী ভূমিকা রাখে?

ডেস্ক রিপোর্ট
December 10, 2023 1:19 pm
Link Copied!

প্রবাসীরা তাদের দেশে পাঠানো অর্থের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

বাংলাদেশের প্রবাসীরা প্রতি বছর প্রায় ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা পাঠায়। এটি বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার আয়ের প্রায় ১০%। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে সহায়তা করে।

কর্মসংস্থান সৃষ্টি:

প্রবাসীরা তাদের দেশে ফিরে এসে বাণিজ্য, শিল্প, সেবা খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশের প্রবাসীদের মধ্যে অনেকেই দেশে ফিরে এসে ব্যবসা শুরু করে। তারা তাদের বিদেশে অর্জিত অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এটি দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।

প্রবাসীরা দেশে ফিরে এসে শিল্প ও সেবা খাতেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। তারা তাদের বিদেশে অর্জিত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাকরি পায়। এটি দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

প্রযুক্তি ও দক্ষতা স্থানান্তর:

প্রবাসীরা তাদের দেশে ফিরে এসে নতুন প্রযুক্তি ও দক্ষতা নিয়ে আসে।

বাংলাদেশের প্রবাসীরা বিদেশে বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য করে। তারা এই যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন নতুন প্রযুক্তি ও দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারে। দেশে ফিরে এসে তারা এই প্রযুক্তি ও দক্ষতা অন্যদের সাথে শেয়ার করে। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নে সহায়তা করে।

সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অবদান:

প্রবাসীরা দেশে ফিরে এসে সামাজিক নিরাপত্তা তহবিল ও কর্মসূচিতে অর্থায়ন করে।

বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য একটি তহবিল রয়েছে। এই তহবিলে সরকার ও প্রবাসীদের চাঁদা জমা হয়। প্রবাসীরা দেশে ফিরে এসে এই তহবিলে চাঁদা দিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে।

সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে দরিদ্র, অসহায় ও বয়স্কদের সহায়তা করা হয়। প্রবাসীদের অবদানের মাধ্যমে এই ব্যবস্থার সুবিধা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়।

আরও বিস্তারিত আলোচনা:

প্রবাসীদের অবদানের উপর আরও বিস্তারিত আলোচনা করতে হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা যেতে পারে:

প্রবাসীদের অবদানের পরিমাণ ও প্রভাব কতটা?
প্রবাসীদের অবদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ও সমাজে কী কী পরিবর্তন এসেছে?
প্রবাসীদের অবদানকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?
এই বিষয়গুলি বিবেচনা করে একটি বিস্তারিত ফিচার লেখা যেতে পারে। এই ফিচারে প্রবাসীদের ব্যক্তিগত গল্প অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এটি ফিচারকে আরও আকর্ষণীয় এবং পাঠকের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশের প্রবাসীদের অবদানের পরিমাণ ও প্রভাব অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবাসীরা প্রায় ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা পাঠায়। এটি বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার আয়ের প্রায় ১০%। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে সহায়তা করে।

প্রবাসীরা দেশে ফিরে এসেও বিভিন্নভাবে অবদান রাখে। তারা দেশে ফিরে এসে ব্যবসা শুরু করে, শিল্প ও সেবা খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং নতুন প্রযুক্তি ও দক্ষতা স্থানান্তর করে। এই অবদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ও সমাজে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।

প্রবাসীদের অবদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ও সমাজে কী কী পরিবর্তন এসেছে?

প্রবাসীদের অবদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজে নিম্নলিখিত পরিবর্তন এসেছে:

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি: প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে সহায়তা করে।
কর্মসংস্থান বৃদ্ধি: প্রবাসীরা দেশে ফিরে এসে ব্যবসা শুরু করে, শিল্প ও সেবা খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। এটি দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
প্রযুক্তি ও দক্ষতা স্থানান্তর: প্রবাসীরা দেশে ফিরে এসে নতুন প্রযুক্তি ও দক্ষতা নিয়ে আসে। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নে সহায়তা করে।
দারিদ্র্য বিমোচন: প্রবাসীদের অবদানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা হয়। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করে।
সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা: প্রবাসীদের অবদানের মাধ্যমে সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব হয়। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ দারিদ্র্য ও অসহায়ত্ব কমায়। এটি সামাজিক অস্থিরতা কমাতে সহায়তা করে।
প্রবাসীদের অবদানকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?

প্রবাসীদের অবদানকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:

প্রবাসীদের জন্য প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করা: প্রবাসীদের জন্য প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করলে তারা দেশে ফিরে এসে আরও দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারবে। এটি তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
প্রবাসীদের জন্য বিনিয়োগ সুযোগ সৃষ্টি করা: প্রবাসীদের জন্য বিনিয়োগ সুযোগ সৃষ্টি করলে তারা দেশে ফিরে এসে ব্যবসা শুরু করতে উৎসাহিত হবে। এটি দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
প্রবাসীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা: প্রবাসীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করলে তারা দেশে ফিরে আসার আগ্রহ বাড়বে। এটি দেশের অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নে সহায়তা করবে।
এই পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করলে প্রবাসীদের অবদানকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে। এটি দেশের অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

প্রবাসীদের অবদানের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা তহবিল ও কর্মসূচিতে অর্থায়ন হয়। এই অর্থ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ব্যবহৃত হয়। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। যেমন:

প্রকল্পভিত্তিক কর্মসংস্থান: সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এই প্রকল্পগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
সামাজিক সেবা খাতে কর্মসংস্থান: সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সেবা প্রদান করা হয়। এই সেবা খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
উৎপাদন খাতে কর্মসংস্থান: সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে বিভিন্ন ধরনের উৎপাদনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই কার্যক্রমগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
দারিদ্র্য বিমোচন:

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়। এর ফলে দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা হয়।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে নিম্নলিখিতভাবে দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা করা হয়:

নগদ সহায়তা: সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারকে নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়। এই সহায়তা পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করে।
কর্মসংস্থান সুবিধা: সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারের সদস্যদের জন্য কর্মসংস্থান সুবিধা প্রদান করা হয়। এই সুবিধা পরিবারের আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা: সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারের সদস্যদের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা প্রদান করা হয়। এই সহায়তা পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে।
সামাজিক স্থিতিশীলতা:

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য ও অসহায়ত্ব কমে। এর ফলে সামাজিক অস্থিরতা কমে এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে নিম্নলিখিতভাবে সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা হয়:

দারিদ্র্য বিমোচন: সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা করা হয়। এর ফলে দারিদ্র্য ও অসহায়ত্ব কমে এবং সামাজিক অস্থিরতা কমে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টি: সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। এর ফলে বেকারত্ব কমে এবং সামাজিক অস্থিরতা কমে।
সামাজিক সুরক্ষা: সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করা হয়। এর ফলে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয় এবং সামাজিক অস্থিরতা কমে।