ঢাকাSaturday , 9 December 2023
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খেলা
  6. চাকরি
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. ধর্ম
  10. নির্বাচিত সংবাদ
  11. প্রবাস
  12. বিনোদন
  13. মতামত
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল

বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা

Link Copied!

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যেসব চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো হলো:

বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি: বাংলাদেশ একটি রপ্তানিমুখী দেশ। রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য আমদানি করে থাকে। যুদ্ধের কারণে এই দুই দেশের সাথে বাণিজ্য ব্যাহত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি: যুদ্ধের কারণে জ্বালানী তেল, খাদ্যপণ্য ও সারসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া: যুদ্ধের কারণে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে গেছে।
কর্মসংস্থান হুমকির মুখে: যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় হ্রাস পেতে পারে। এর ফলে কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়তে পারে।
এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় সরকার কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে:

বৈদেশিক মুদ্রা বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যাংকের মাধ্যমে ডলার কেনার পরিমাণ বাড়ানো।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেপো রেট বাড়ানো।
রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়তা প্রদান।
এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে সরকার আশা করছে যে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। তবে, যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে এই চ্যালেঞ্জগুলো আরও জটিল হতে পারে।

বাংলাদেশের মোট বাণিজ্য ঘাটতির প্রায় ৫০% রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের কারণে। রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ প্রধানত জ্বালানী তেল, সার, কয়লা, কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য আমদানি করে থাকে। ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশ প্রধানত কৃষি পণ্য, কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য আমদানি করে থাকে।

যুদ্ধের কারণে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশ অনেক পণ্য আমদানি করতে পারছে না। ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি

যুদ্ধের কারণে জ্বালানী তেল, খাদ্যপণ্য ও সারসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। এর ফলে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০২৩ সালের জুনে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৫৬%। যা ২০২২ সালের জুনে ছিল ৫ দশমিক ৩৭%।

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া

যুদ্ধের কারণে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে গেছে।

২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮৪ টাকা। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রতি ডলারের বিনিময় হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা।

কর্মসংস্থান হুমকির মুখে

যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় হ্রাস পেতে পারে। এর ফলে কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়তে পারে।

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০% আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। রাশিয়া ও ইউক্রেন তৈরি পোশাকের বড় বাজার। যুদ্ধের কারণে এই দুই দেশের সাথে বাণিজ্য ব্যাহত হলে তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় হ্রাস পেতে পারে।

সরকারের পদক্ষেপ

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় সরকার কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে:

বৈদেশিক মুদ্রা বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যাংকের মাধ্যমে ডলার কেনার পরিমাণ বাড়ানো।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেপো রেট বাড়ানো।
রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়তা প্রদান।
এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে সরকার আশা করছে যে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। তবে, যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে এই চ্যালেঞ্জগুলো আরও জটিল হতে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের প্রভাব

যদি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আরও কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:

বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
মূল্যস্ফীতি আরও দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও কমে যেতে পারে।
কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়তে পারে।
এছাড়াও, যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় হ্রাস পেতে পারে। এতে দেশের অর্থনীতিতে আরও বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে।

বাংলাদেশের মোট বাণিজ্য ঘাটতির প্রায় ৫০% রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের কারণে। রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ প্রধানত জ্বালানী তেল, সার, কয়লা, কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য আমদানি করে থাকে। ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশ প্রধানত কৃষি পণ্য, কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য আমদানি করে থাকে।

যুদ্ধের কারণে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশ অনেক পণ্য আমদানি করতে পারছে না। ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইউক্রেন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে:

কৃষি পণ্য: ভুট্টা, গম, সূর্যমুখী তেল, বাদাম, ফল, শাকসবজি ইত্যাদি।
কাঁচামাল: প্লাস্টিক, সার, কয়লা, ধাতু ইত্যাদি।
ভোগ্যপণ্য: প্রসাধনী, ফার্নিচার, ইলেকট্রনিক পণ্য ইত্যাদি।
রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে:

জ্বালানী তেল: পেট্রোল, ডিজেল, এলপিজি, তেল ইত্যাদি।
সার: রাসায়নিক সার, জৈব সার ইত্যাদি।
কাঁচামাল: কয়লা, ধাতু, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি।
ভোগ্যপণ্য: ইলেকট্রনিক পণ্য, গাড়ি, মোবাইল ফোন ইত্যাদি।
এই পণ্যগুলো আমদানি করতে না পারায় বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে চাপ তৈরি হয়েছে।

মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি

যুদ্ধের কারণে জ্বালানী তেল, খাদ্যপণ্য ও সারসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। এর ফলে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০২৩ সালের জুনে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৫৬%। যা ২০২২ সালের জুনে ছিল ৫ দশমিক ৩৭%।

মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। এর ফলে তাদের জীবন কষ্টকর হয়ে উঠেছে।

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া

যুদ্ধের কারণে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে গেছে।

২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮৪ টাকা। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রতি ডলারের বিনিময় হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা।

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে। এর ফলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে।

কর্মসংস্থান হুমকির মুখে

যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় হ্রাস পেতে পারে। এর ফলে কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়তে পারে।

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০% আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। রাশিয়া ও ইউক্রেন তৈরি পোশাকের বড় বাজার। যুদ্ধের কারণে এই দুই দেশের সাথে বাণিজ্য ব্যাহত হলে তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় হ্রাস পেতে পারে।

যুদ্ধের কারণে তৈরি পোশাক খাতের মালিকরা তাদের উৎপাদন কমাতে বা বন্ধ করতে বাধ্য হতে পারে। এর ফলে কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়তে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের প্রভাব

যদি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আরও কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

বাংলাদেশের মোট বাণিজ্য ঘাটতির প্রায় ৫০% রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের কারণে। রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ প্রধানত জ্বালানী তেল, সার, কয়লা, কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য আমদানি করে থাকে। ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশ প্রধানত কৃষি পণ্য, কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য আমদানি করে থাকে।

যুদ্ধের কারণে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশ অনেক পণ্য আমদানি করতে পারছে না। ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

জ্বালানী তেল

রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ প্রধানত জ্বালানী তেল আমদানি করে থাকে। যুদ্ধের কারণে রাশিয়া থেকে জ্বালানী তেল আমদানি ব্যাহত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন ও শিল্প উৎপাদনে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

সার

রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ প্রধানত রাসায়নিক সার আমদানি করে থাকে। যুদ্ধের কারণে রাশিয়া থেকে সার আমদানি ব্যাহত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।

কাঁচামাল

রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল আমদানি করে থাকে। যুদ্ধের কারণে এই দুই দেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।

ভোগ্যপণ্য

রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের ভোগ্যপণ্য আমদানি করে থাকে। যুদ্ধের কারণে এই দুই দেশ থেকে ভোগ্যপণ্য আমদানি ব্যাহত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে।

মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি

যুদ্ধের কারণে জ্বালানী তেল, খাদ্যপণ্য ও সারসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। এর ফলে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০২৩ সালের জুনে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৫৬%। যা ২০২২ সালের জুনে ছিল ৫ দশমিক ৩৭%।

মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। এর ফলে তাদের জীবন কষ্টকর হয়ে উঠেছে।

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া

যুদ্ধের কারণে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে গেছে।

২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮৪ টাকা। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রতি ডলারের বিনিময় হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা।

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে। এর ফলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে।

কর্মসংস্থান হুমকির মুখে

যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় হ্রাস পেতে পারে। এর ফলে কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়তে পারে।

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০% আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। রাশিয়া ও ইউক্রেন তৈরি পোশাকের বড় বাজার। যুদ্ধের কারণে এই দুই দেশের সাথে বাণিজ্য ব্যাহত হলে তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় হ্রাস পেতে পারে।

যুদ্ধের কারণে তৈরি পোশাক খাতের মালিকরা তাদের উৎপাদন কমাতে বা বন্ধ করতে বাধ্য হতে পারে। এর ফলে কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়তে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের প্রভাব

যদি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আরও কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি, খাদ্য, সারসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের আমদানি ব্যয়ও বেড়েছে। এই ব্যয় কমাতে সরকার আমদানিকারকদের জন্য ভর্তুকি প্রদানের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এই ভর্তুকি মূলত জ্বালানি, খাদ্য, সার, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানিতে প্রযোজ্য। সরকার এসব পণ্যের আমদানির জন্য নির্ধারিত মূল্য থেকে আমদানিকারকদেরকে ভর্তুকি প্রদান করবে।

এই পদক্ষেপের ফলে আমদানি ব্যয় কমে যাবে এবং পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাজার মনিটরিং করা

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এর ফলে বাংলাদেশেও খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এই দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বাজার মনিটরিং করছে।

সরকারের বাজার মনিটরিং দল প্রতিনিয়ত বাজারে ঘুরে বেড়ে খাদ্যপণ্যের দাম পর্যবেক্ষণ করছে। দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।

সরকার এছাড়াও খাদ্যপণ্যের মজুদ বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। সরকারের মজুদ ব্যবস্থাপনা সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) খাদ্যপণ্য আমদানি করে মজুদ বাড়াচ্ছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়া

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও এই অস্থিরতার কারণে কমেছে। এই রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য সরকার রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিচ্ছে।

সরকার এজন্য প্রবাসীদেরকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠালে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও প্রবাসীদের জন্য ব্যাংকিং সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

এই পদক্ষেপগুলোর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

অন্যান্য পদক্ষেপ

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের আরও কিছু পদক্ষেপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রণোদনা প্রদান করা।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য সহায়তা প্রদান করা।
রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া।
এই পদক্ষেপগুলোর ফলে দেশের অর্থনীতিতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।