আপনি যদি রোদে বের না হন বা নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন, যদি নিয়মিত দুধ খাওয়া না হয় বা শুধু নিরামিষ খাবার খান- তবে ভিটামিন ডি ঘাটতিতে ভোগার ঝুঁকি রয়েছে আপনার। সানশাইন ভিটামিন হিসেবে পরিচিত ভিটামিন ডি। ত্বক সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসার প্রতিক্রিয়া হিসেবে শরীর দ্বারা উৎপাদিত হয় এই ভিটামিন। কিছু মাছ, দুধ, মাছের যকৃতের তেল এবং ডিমের কুসুমসহ কিছু খাবারেও মেলে ভিটামিন ডি।
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হাড়ের ঘনত্বে প্রভাব ফেলতে পারে, যা অস্টিওপরোসিস এবং ফ্র্যাকচারের কারণ হতে পারে। সিঁড়িতে বেয়ে উঠতে বা মেঝেতে বসার পর উঠতে সমস্যা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ভিটামিন ডি কমে গেলে চুল পড়ার হার বাড়তে পারে। এছাড়া ক্ষুধামন্দা দেখা দেওয়াও ভিটামিনটি কমে যাওয়ার একটি লক্ষণ।
সবসময় ক্লান্ত লাগা এবং শরীর ব্যথা করা ভিটামিন ডি ঘাটতির অন্যতম লক্ষণ। বিষণ্ণতা বা মন খারাপ থাকার কারণ হতে পারে ভিটামিন ডি এর অভাব। গুরুতর ভিটামিন ডি এর অভাব হলে শিশুদের মধ্যে রিকেট রোগ হতে পারে। এটি একটি বিরল রোগ যার কারণে হাড় নরম হয়ে যায় এবং বাঁকা হয়ে যায়।
প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর গুরুতর অভাব অস্টিওম্যালাসিয়ার মতো সমস্যার কারণ হতে পারে। অস্টিওম্যালাসিয়া দুর্বল হাড়, হাড়ের ব্যথা এবং পেশী দুর্বলতা সৃষ্টি করে।