গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাস ও খড়বোঝাই ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসটির বেশ কয়েকটি আসন ও ট্রাকের আংশিকসহ খড় পুড়ে গেছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে বাসে ও চন্দ্রা ফরেস্ট অফিসের সামনে ট্রাকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আগুন লাগা বাসের যাত্রীদের ভাষ্যমতে, ঠিকানা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি জিরানী বাজার এলাকায় পৌঁছালে বাসের ভেতরের পেছন দিক থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। এ সময় যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে চলন্ত বাস থেকে নামতে থাকেন। পরে চালকও বাস থামিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নেভান। এতে বাসের ভেতরের বেশ কয়েকটি আসন পুড়ে গেছে।
রিজভী হোসেন নামে বাসের এক যাত্রী জানান, তিনি চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে সকালে বাসে ওঠেন। বাসটি জিরানী বাজার এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিকে যাত্রীবেশে বসে থাকা দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দৌড়ে নেমে যায়। এ সময় গাড়িটিতে সাত থেকে আট জন যাত্রী ছিলেন। দ্রুত গাড়িটি থামানোয় এবং যাত্রীরা নেমে যাওয়ায় কারও কোনও ক্ষতি হয়নি।
গাজীপুরের কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, ‘একটি চক্র ওই এলাকায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমরা চক্রটি ধরার চেষ্টা করছি।’
এর আগে, ভোর ৪টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ফরেস্ট অফিসের সামনে খড়বোঝাই ট্রাকে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ থেকে খড়বোঝাই ট্রাকটি ঢাকার দিকে আসছিল। ট্রাকটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ফরেস্ট অফিসের সামনে এলে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে ট্রাকে থাকা অধিকাংশ খড় পুড়ে গেছে।’
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা ইফতেখার চৌধুরী রায়হান বলেন, ‘খড়বোঝাই ট্রাকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নেভায়।’
উল্লেখ্য, রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার গোয়ালবাথান এলাকায় একটি রডবোঝাই ট্রাকে ও একই দিন রাত ৮টার দিকে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া গত এক সপ্তাহে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে যাত্রীবেশে তিনটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।